মোহাম্মদ মুশফিকুর রহিম (জন্ম: ৯ মে, ১৯৮৭) একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার এবং বাংলাদেশ জাতীয় দলের তিন ফরম্যেটে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। মুশফিকুর রহিম সেপ্টেম্বর ২০১১ থেকে জাতীয় দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ দলের উইকেট-রক্ষক এবং মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান। তার গড়ন ছোটখাটো তাকে সবসময় হাস্যোজ্জ্বল মুখে দেখা যায় এবং তিনি স্ট্যাম্পের পেছনে থেকে বিভিন্ন কথা বলে খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিয়ে থাকেন।
তিনি প্রথম বাংলাদেশী খেলোয়াড় যিনি টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ডাবল সেঞ্চুরি তথা সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হিসেবে কৃতিত্ব অর্জন করেন।মুশফিকুর রহিম বগুড়া জিলা স্কুল এবং বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছিলেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুশফিক ইতিহাস বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্যঃ
পূর্ণ নামঃ মোহাম্মদ মুশফিকুর রহিম
জন্মঃ ৯ মে ১৯৮৭ (বয়স ৩৪)
বাবার নামঃ মাহবুব হামিদ তারা
মায়ের নামঃ রহিমা খাতুন
স্ত্রীঃজান্নাতুল কিফায়াত মন্ডি
জন্মস্থানঃ বগুড়া, বাংলাদেশ।
ডাকনামঃ মিতু
উচ্চতাঃ ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি (১.৬৩ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান
ভূমিকাঃ উইকেট-রক্ষক, ব্যাটসম্যান
আর্ন্তজাতিক তথ্যঃ
জাতীয় পার্শ্বঃ বাংলাদেশ
টেস্ট অভিষেকঃ ২৬ মে ২০০৫ বনাম ইংল্যান্ড
(ক্যাপ ৪১) শেষ টেস্টঃ ২১ এপ্রিল ২০২১ বনাম শ্রীলঙ্কা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৮০)ঃ ৬ আগস্ট ২০০৬ বনাম জিম্বাবুয়ে
শেষ ওডিআইঃ ২৬ মার্চ ২০২১ বনাম নিউজিল্যান্ড
ওডিআই শার্ট নংঃ ১৫
টি২০আই অভিষেক-
(ক্যাপ ১৫)ঃ ২৮ নভেম্বর ২০০৬ বনাম জিম্বাবুয়ে
শেষ টি২০আইঃ ১১ মার্চ ২০২০ বনাম জিম্বাবুয়ে
ঘরোয়া দলের তথ্যঃ
২০০৬-রাজশাহী বিভাগ
২০০৭-সিলেট বিভাগ
২০০৮–রাজশাহী বিভাগ
২০১২- দুরন্ত রাজশাহী
২০১২-নাগেনাহিরা নাগাস
২০১৩- ২০১৫ঃসিলেট রয়্যালস
২০১৬- করাচী কিংস
২০১৬-বরিশাল বুলস
২০১৮-১৯ঃচিটাগাং ভাইকিংস।
রহিমের ব্যাটিং এতটা বহুমাত্রিক যে তিনি এক থেকে ছয় পর্যন্ত যে কোন অর্ডারে খেলতে পারেন একথা বলেছিলেন বাংলাদের দলের সাবেক কোচ জেমি সিন্ডস।
২০১৮ সালে নভেম্বরে বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে ম্যাচে তিনি বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে প্রথম সর্বোচ্চ ২ টি ডাবল সেঞ্চুরি করেন।এবং উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ দুইটি ডাবল সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়েন।
কর্মজীবন
২০০৫ সালে বাংলাদেশ প্রথম ইংল্যান্ড সফর করেন।এটিই ছিল মুশফিকুর রহিমের জাতীয় দলের হয়ে খেলার প্রথম সুযোগ ও এর মধ্য দিয়ে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে তার অভিষেক হয়।২০০৬ সালে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে মুশফিক বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেন।২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপে অনবদ্য ৭১ রানের ইনিংসের জন্য বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচে তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।এছাড়াও তিনি বিপিএল এ রাজশাহী,খুলনা,সিলেট,চট্টগ্রাম,বরিশাল দলের হয়ে খেলেছেন।
অধিনায়কত্ব
২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এশিয়া কাপে নিজেদের সেরা সাফল্যে রানার্সআপ হয়।
টেস্ট ক্রিকেটে মুশফিকের অধিনায়কত্বেই বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কাকে পরাজিত করে। ২০০৯ এর জিম্বাবুয়ে সফরে মুশফিক বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক নির্বাচিত হন।
মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশ দলের একজন দক্ষ ও কৌশলী খেলোয়াড়।তার অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ দলের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন যার জন্য ইংল্যান্ড,অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার মতো শক্তিশালী দলকে হারাতে সক্ষম হয়েছিলেন।মুশফিক বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের গর্ব।সে ইতিমধ্যেই জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশীদের হৃদয়ের গভীরে।ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের জন্য নিয়ে নতুন নতুন সব অর্জন।