Breaking News

পড়া মনে রাখার ইসলামিক কৌশল- অল্প পড়ে ভালো রেজাল্ট করার টেকনিক

আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয় বন্ধুরা।আজকে আমি এই পোস্টটি পড়া মনে রাখার সহজ এবং সেরা কয়েকটি ইসলামী কৌশল আলোচনা করব।অনেক শিক্ষার্থী রয়েছেন যারা 10 থেকে 12 ঘন্টা পড়াশোনা করেও পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারেন না।আবার অনেক শিক্ষার্থী রয়েছেন যারা দিনে তিন থেকে চার ঘন্টা পড়াশোনা করে রেজাল্ট অর্জন করতে সক্ষম হয়। এর কারণ হচ্ছে কৌশল  বা টেকনিক অবলম্বন করে পড়াশোনা করা ।

ইসলামিক কিছু কৌশল টিপস এখানে দেওয়া রয়েছে যার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী অনায়াসেই যেকোনো পড়াকে  মনে রাখতে সক্ষম হবে। পৃথিবীর সকল মানুষের ক্রিয়েটিভিটি এক হয় না। যে যত বেশি টেকনিশিয়ান সে ততো বেশি মেধাবী। যারা বেশি অলস তারা অতি সহজেইযেকোনো কাজের সহজ টেকনিক খুঁজে বের করার চেষ্টা করে।

এজন্য এপিজে আবুল কালাম আজাদ বলেছেন- কোন জটিল কাজ করার জন্য আমি একজন মানুষ মানুষকে খুজবো, কারণ সেই জটিল কাজটি করার জন্য সে সর্বোত্তম কৌশল  খুঁজে বের করবে ।এখানে মানুষ মানুষের কোন কীর্তি করা হয় টেকনিশিয়ান  ব্যক্তিকে প্রাধান্য দেওয়া  হয়েছে।

যে সকল শিক্ষার্থী পড়াশোনার সহজ টেকনিক নিজে নিজে তৈরি করতে পারে, তার  পড়া তত বেশি মনে থাকবে। অনেকেই পড়তে বসলে নানাবিধ চিন্তাভাবনা মাথায় স্থান দেয় বলে তাদের পড়াশোনার দীর্ঘদিন মনে থাকে না। যারা পঞ্চ ইন্দ্রিয় যোগ করে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করে এবং সর্বোপরি টেকনিক অবলম্বন করে বাস্তবতার সাথে মিলিয়ে ব্যক্ত করে তারা সহজেই সেই আত্মস্থ  পড়া ভুলে যায় না। 

গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে তাদের মেধা অনেক বেশি সার্প থাকে। বিশেষ করে ভোরবেলা নামাজ শেষে পড়াশোনা করতে বসলে শিক্ষার্থীদের মস্তিষ্কে আলফা ওয়েভ তৈরি হয়। এছাড়াও কোরআন তেলাওয়াত করলে ব্রেইনে আলফা ওয়েভ সৃষ্টি হয় যার ফলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারে।

মানুষের মস্তিষ্ক 1 বিলিয়ন নিউরন দিয়ে তৈরি ফলে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সেই  নিউরনে আলফা ওয়েভ অনেক বেশি সৃষ্টি হয় যার ফলে  আত্মস্থকৃত পড়া  দীর্ঘদিন মনে থাকে। বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে  এবং চারপাশের আর কিছু আছে তার সাথে মিলিয়ে  পড়া আত্মস্থ করলে তা আজীবন মেমোরিতে থেকে যায়।

পড়াশোনা মনে রাখার ইসলামিক উপায়

  • নামাজ পড়ার পরে মেয়েরা অনেক তীক্ষ্ণ থাকে- ফলে প্রার্থনা শেষে পড়াশোনা করলে অন্তরের সতেজতা   পড়া দীর্ঘদিন মনে রাখতে সহযোগিতা করে।
  • কিছুক্ষণ কুরআন তিলাওয়াত করার পর মানুষের অন্তরে কনফিডেন্স এবং সতেজতা বৃদ্ধি পায়। এ সময় শয়তান মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করার সুযোগ পায় না বলে বাড়তি দুশ্চিন্তা থেকে শিক্ষার্থীরা নিজেকে মুক্ত রাখতে পারে- যার ফলে পড়া মন থেকে হারাতে  চায় না।
  • একটানা দীর্ঘক্ষণ পড়াশোনা না করে একটি বিষয় আধাঘন্টা থেকে এক ঘন্টা পড়াশোনা করা দরকার। আমাদের মস্তিষ্ক একঘেয়েমি কোন কিছু একসাথে নিতে পছন্দ করে না।  এর মাঝে একটু অনলাইনে ঘুরে আসলে বা বন্ধু-বান্ধবী এবং প্রিয়জনের সাথে কথা বলার জন্য 25 থেকে 30 মিনিট সময় নিতে পারেন।
  • টেকনিক অবলম্বন করা-নিজে নিজেই টেকনিক অবলম্বন করে  পড়াশোনা করলে তা মেমোরিতে স্থায়ী  থেকে যায়। যেমন ধরুন- আমার পাশের বাড়ির এক ভাইয়ের নাম আব্দুল গাফফার ।আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলতে পারি- কথাটি  আমার প্রতিবেশী গাফফার ভাই  একথাটি লিখেছেন। যদিও রচিয়তা আপনার প্রতিবেশী ভাই না, কিন্তু তাকে অবলম্বন করে  উক্তিটির রচয়িতার নাম চাইলেও ভোলা সম্ভব নয়।
  • ফজরের পর  মেধা দুশ্চিন্তামুক্ত থাকে ফলে এই সময়ে পড়াশোনা করলে তা সহজে মনে থাকে।

পরিশেষে বলা যায় যে, পড়া মনে রাখার নির্দিষ্ট কোন তাবিজ না থাকলেও পড়াশোনা যে যত বেশি টেকনিক অবলম্বন করতে পারবেন অল্পসময়ের মধ্যেই সেই শিক্ষার্থী  অধিক পড়া মনে রাখতে পারবেন।

যেমন- ধরুন, কোন প্রাণীর শ্রেণিবিন্যাস করতে হলে কিংডম থেকে প্রজাতি পর্যন্ত ধারাবাহিকতা মনে রাখার জন্য kpc of gas মুখস্ত করলেই শ্রেণিবিন্যাসের প্রক্রিয়াটি ধারাবাহিকভাবে মনে থাকে ।এখানে- k= kingdom, p= phylum, c=class, o=order, f= family, g= genus, s= species

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *