Breaking News

ল্যাপটপ ও মোবাইলের ব্যাটারী ভালো রাখার ১০টি উপায়

এই আধুনিক সময়ে ল্যাপটপ খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি ডিভাইস।ল্যাপটপ ছাড়া এখনকার সময় কল্পনাই করা যায় না।ল্যাপটপের মাধ্যমে আমরা আনলাইন মিটিং সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকি।এসব কাজ করতে গিয়ে ব্যাটারী চার্জ নিয়ে বিভিন্ন সময় সমস্যায় পড়তে হয় অনেক সময় আমাদের গুরুত্বপূর্ন কাজ করতে ব্যাঘাত ঘটে।এখন  বেশীরভাগ মানুষের কাছেই ল্যাপটপ রয়েছে কিন্তুু ব্যাটারী কিভাবে চার্জ করতে হবে বা কিভাবে ব্যবহার এসব বিষয়ে সঠিক জ্ঞান না থাকার কারনে তাদেরকে সমস্যায় পড়তে হয়।

অনেক ভালো মানের দামী ব্যাটারীগুলো অতি- দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।আজকে আমি ব্যাটারী সঠিকভাবে চার্জের পদ্ধতি ও ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করব।এসব বিষয় অনুসরন করলে আপনাকে আর তেমন সমস্যায় পরতে হবে না।

ল্যাপটপের ব্যাটারী ভালো রাখার ১০টি উপায়

ব্যাটারী ওভার চার্জ করাঃ

আগে যে ডিভাইসগুলো ব্যবহৃত হতো সেগুলোর ব্যাটারী ওভার চার্জ নিয়ে আনেক চিন্তা করতে হতো।কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নয়নের কারনে আমাদের আর এ বিষয়ে তেমন চিন্তা করতে হয় না।এখনকার ল্যাপটপ,মোবাইল ফোন ও অনান্য ডিভাইসগুলোতে ওভার চার্জিং সার্কিট লাগানো থাকে যার ফলে অতিরিক্ত চার্জ হওয়ার কোন সুযোগ নেই।

বর্তমান ব্যাটারীগুলো লিথিয়াম আয়ন ও লিথিয়াম পলিমার দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে যার ফলে এগুলো অতি উন্নতমানের হয়ে থাকে এবং ওভার চার্জ হয় না।১০০% চার্জ হওয়ার পর অটোমেটিক ভাবেই চার্জ নেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে এবং এই ১০০% চার্জের উপর ডিভাইস চলতে থাকবে।পরে চার্জ কমে গেলে পুনরায় চার্জ হতে থাকবে।এক্ষেত্রে অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনা এড়াতে চার্জার খুলে রাখাই উত্তম অনেকসময় চার্জার নষ্ট বা পুড়ে যেতে পারে।

ব্যাটারী ডেডঃ

আপনার ল্যাপটপ যতই দামি হোক না কেন একসময়এর ব্যাটার পারর্ফামেন্স কমতে থাকে।আগে যে পরিমান ব্যাটারী ব্যাকআপ দিতো সেরকম এখন দেয় না।এই ব্যাটারী ডেড হওয়া থেকে আমরা কোন ভাবেই রক্ষা করতে পারবো না বরং কিছু নিয়ম মেনে চললে আমরা ব্যাটারী ডেড হওয়ার প্রক্রিয়াটা কিছুটা ধীরগতি সম্পন্ন করতে পারি।ব্র্যান্ড ভেদে ব্যাটারীর ব্যাক-আপ কমবেশী হয়ে থাকে।

একটি ল্যাপটপের ব্যাটারী ৫০০ থেকে ১০০০ বার চার্জ করা যায়।এর জন্য আবার ব্যাটারী যে আবার বেশী চার্জ করবেন এমনটা না।ব্যাটারী সবসময় বেশী চার্জে রাখা যাবে না এটা আপনার মোবাইল বা ল্যাপটপের জন্য ক্ষতিকর।ব্যাটারীর চার্জ ১৫ থেকে ৮০ বা ৮৫ ভাগ রাখতে হবে।

ল্যাপটপ বেশীক্ষন চার্জে রাখলে ব্যাটারী ফুলে যেতে পারে এবং ল্যাপটপ গরম হতে পারে ও এর পারর্ফামেন্স স্লো হতে পারে।ব্যাটারী চার্জ করার সময় দেখতে হবে ল্যাপটপ অতিরিক্ত গরম হচ্ছে নাকি হলে কুলার ফ্যান ব্যবহার করতে হবে।

চার্জার প্লগ-ইনঃ

 ল্যাপটপের চার্জার প্লাগ-ইন করার সময় আমাদের সচেতন হতে হবে।তাড়াহুড়া করে প্লাগ-ইন করতে গেলে পরে চার্জ নিতে সমস্যা হতে পারে।

অরজিনাল চার্জার ব্যাবহার করুনঃ

ল্যাপটপে সবসময় অরজিনাল চার্জার ব্যবহার করা উত্তম এতে ল্যাপটপ দ্রুত চার্জ হবে এবং ভোল্টেজ জনিত কোন সমস্যা হবে না।

তাপমাত্রাঃ

ল্যাপটপ অতি উচ্চ তাপমাত্রায় অথবা অতিরিক্ত ঠান্ডা জায়গায় রাখবেন না।এতে অতি তাপমাত্রার কারনে কারনে ল্যাপটপ স্লো হতে পারে ল্যাপটপের গরম বাতাস যেন বাইরে বের হতে পারে সে ব্যবস্থা রাখতে হবে এরজন্য কুলার ফ্যান ব্যবহার করতে পারেন।আবার বেশী ঠান্ডা হলেও ল্যাপটপের গতীতে সমস্যা হতে পারে।

ল্যাপটপ বন্ধ করাঃ

ল্যাপটপের কাজ শেষ হলে অবশ্যই বন্ধ করে রাখবেন।অযথা ল্যাপটপ দীর্ঘক্ষন চালু রাখলে হার্ডডিস্ক ও কুলিং ফ্যান ড্যামেজ হতে পারে।

লেটেস্ট ওএস ব্যবহার করুনঃ

ওএস অপারেটিং সিস্টেম অপডেট করুন এতে এনার্জি সেভিংস ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।তাই যখনই নটিফিকেশন পাবেন অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করুন।

হাইবারনেট মোড ব্যবাহার করুনঃ

স্লিপ মোড ও হাইবারনেট মোডের মাধ্যমে পার্থক্য রয়েছে।আপনি যদি ল্যাপটপ কয়েক ঘন্টার জন্য দুরে রাখতে চান পরবর্তীতে কিছুক্ষন কাজ করার জন্য তাহলে স্লিপ মোড রেখে দেন।স্লিপ মোডে রাখলে RAM ও মেমোরি প্রসেস হতে থাকে।কিন্তু যদি হাইবারনেট মোড করেন তাহলে এসব কাজ করবে না আপনি চাইলে পাওয়ার কাট ও করে দিতে পারেন। এজন্য হাইবারনেট মোডই উত্তম।

ব্যাটারী সেভারঃ

ব্যাটারী সেভার অন করলে আপনার ল্যাপটপের ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেস ব্ন্ধ হয়ে যাবে।এতে আপনার চার্জ সেইভ হবে এবং ব্যাটারী ভালো থাকবে।

স্ক্রিন ব্রাইটনেসঃ

আমাদের বেশীর ভাগ চার্জ ল্যাপটপ স্ক্রিনে ব্যয় হয় তাই আমরা যদি ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখি তাহলে চার্জ দীর্ঘস্থায়ী হবে।

এসব নিয়ম মেনে চললে আমরা আমাদের ল্যাপটপ ও ব্যাটারী ঠিক রাখতে পারবো।আর চার্জ নিয়ে কোন সমস্যায় পরতে হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *