অলসতা দূর করার কার্যকরী উপায়
অলস মস্তিষ্ক শয়তানের লীলাভূমি। শারীরিক এবং মানসিক উপলক্ষে অলসতা থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে ।আপনি যদি বেশি ঘুমিয়ে থাকেন অথবা অধিক কাজ করে থাকেন তবে ক্লান্তি আসবে এটাই স্বাভাবি।তবে মানসিক এবং শারীরিক ক্লান্তি দূর করার কিছু উপায় রয়েছে। সেই উপায় অবলম্বন করলে সব কিছু স্বাভাবিক হবে ।অলসতা দূর করার কার্যকারী উপায় যদি আপনি কোথায় ? তবে এই পোস্টটি আপনাকে বিশেষভাবে সহযোগিতা করতে যাচ্ছে। আমরা এখানে কোনক্রমেই অলস ব্যাক্তির কথা বলছি না বরং সেই সকল ব্যক্তির কথা বলছি- যাদের শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি রয়েছে -কিন্তু অলস জীবন যাপন করছে ।কোন কারনে অকারনে হঠাৎ করে অন্তরে এবং শরীরে ক্লান্তি চলে আসলে তা দীর্ঘস্থায়ী না করে সঠিক সময়ে সঠিক সমাধান করে ফেলার জন্য এই পোস্টটি করা হয়েছে।
আমেরিকান বিশেষজ্ঞরা অলসতার কিছু কারণ উপলব্ধি করেছেন ।.৮ ঘণ্টার অধিক সময় বিছানায় শুয়ে থাকলে মানুষের অলসতা বেড়ে যায়। কথায় আছে- আহার নিদ্রা ভয়, যত বেশি করিবে তত বেশি হয়। সুতরাং আপনি যদি মানসিকভাবে অসুস্থ না হয়ে থাকেন তাহলে অলসতা দূর করার কার্যকরী টিপস গুলো অনুকরণ করে সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা 100% ।
শারীরিক এবং মানসিক অলসতার কারণ
মন ভালো থাকলে শরীর ভালো থাকে এবং শরীর ভালো থাকলে সবকিছু ভালো থাকে। কাজেই মনটাকে প্রথমে প্রাধান্য দিয়ে শরীরের সুস্থতা কামনা করা ।প্রত্যেকের কর্তব্য শরীর এবং মনের সমোন্নতি প্রয়াস অলসতা সহজেই দূর করা সম্ভব…গবেষণায় দেখা গেছে যে নেগেটিভ মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি মানুষকে অলস করে দেয়।
সাইন্টিস্ট এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মতামতের ভিত্তিতে নিচের কারণগুলোর মাধ্যমে অলসতা নামক ব্যক্তি শরিলে স্থান করে নেয়। যার ফলে নির্দিষ্ট সময়ের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে করতে না পেরে কালক্ষেপণ হয।এমত অবস্থায় আপনি যদি অলসতা দূর করতে চান তবে প্রথমেই আপনাকে অলসতা কম হওয়ার কারণ গুলো জানতে হবে। নিচে সেই কারণগুলো উল্লেখ করা হলো-
- কাজ করে কি হবে? এমন প্রশ্ন প্রত্যেকের মনেই দুর্বল করে তোলে ।জীবনের বাস্তবতার বয়সে পরিকল্পনামাফিক উন্নতি করার জন্য নেগেটিভ চিন্তাভাবনা থেকে দূরে থাকতে হবে ।শরীরে এবং মনে শক্তির যোগান দিতে হবে।
- বিছানায় দীর্ঘ সময় শুয়ে থাকা – কাজ না করে দীর্ঘ সময় বিছানায় শুয়ে থাকলেন আমাদের চিন্তা ভাবনা মনে স্থান করে নেয।।হলে কাজ করার স্পৃহা ধ্বংস হয়।আট ঘণ্টার অধিক সময় বিছানায় শুয়ে থাকলে শরীরের কোষগুলো অলস হয়ে যায়। ফলে একজন মানুষ অনায়াসেই অলস হবে এটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে ফজরের আজানের পরে এবং আসরের আজানের পরে শুয়ে থাকলে শরীর অলস হয়ে যায়।
- মানসিক দুশ্চিন্তা- মানসিক দুশ্চিন্তা শরীরকে অলস করে দেয়। মানসিক দুশ্চিন্তায় থাকলে খাদ্য নালী চিকন হয়ে যায় ফলে খাবার খেতে মন চায় না, যা অলসতার উৎস নয় কি?
- ধূমপান করা – পৃথিবীতে এমন কোন বই বা প্ল্যাটফর্ম নাই যে, ধূমপানে গ্লানি করে নাই- ধূমপানের কারণে শরীরের অলসতা বৃদ্ধি পায়।
- প্ল্যানিং এর অভাব – আগামীকাল কি করতে হবে, কোন সময় কি করতে হবে, তা আগের থেকে ঠিক না করে বা পরিকল্পনা না করে ঘুমানো বোকামির পরিচয় । সময় নির্দিষ্ট না করে বা টার্গেট না নিয়ে আজকে রাখা মানে অলসতার প্রবেশপথ পরিষ্কার করে দেওয়া।
- অধিক সহবাসের সম্মতি – স্ত্রীর সাথে অধিক সহবাস করলে শরীরের মধ্যে যে ক্ষরণ হয় তা পূর্ণ হতে সময় লাগে । যার ফলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। সবকিছুই মূলত লিমিটের মধ্যে থাকা ভালো ।তাই অধিক সহবাস নিতান্তই অলসতার কারণ ।
অলসতা দূর করার উপায়
অলসতা আসুক না কেন, তাকে দূর করার উপায় খুঁজতে হবে । আপনি যদি উপায় পেয়েও নিজেকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে সন্তুষ্ট করতে না পারেন, তবে শুধু পড়াটা সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই হবে না । বিশেষজ্ঞদের মতে নিচের কার্যকরী টিপস গুলো অলসতা দূর করার প্রধান মাধ্যম হতে পারে। আপনি যদি আপনার অলসতাকে দূর করতে চান, তবে টিপস বলুন অনুকরণ করতে পারেন ।
আপনি যদি অলসতাকে নিরন্তর শরীর থেকে চিরতরে বিদায় করতে চান, তবে উপরের অলসতা হওয়ার কারণগুলো আরেকবার পড়ে- তা অ্যাভয়েড করে চললে অলসতা দূর করা সম্ভব।
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে- আপনি নিজের সময়কে কিভাবে ব্যয় করবেন তা আপনার নিজের উপর নির্ভর করবে ।আপনি নিশ্চয় আপনার শরীরের দাস নয় বরং তার শরীরকে নিজের দাস বানিয়ে নিন অর্থাৎ আপনি যাও করতে চান বা করবেন, সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন এবং সময়ের মূল্য দিয়ে কোন কাজ আগামীকালের জন্য ফেলে না রেখে তাৎক্ষণিকভাবে করার চেষ্টা করুন ।আপনার শরীর এবং মন অলসতার বশবর্তী হয়ে থাকলে, পুরো এক মাসের প্লান অনুসারে প্রথমে পাঁচ দিন, তারপরে 15 দিন এবং শেষ 15 দিন রুটিন অনুসারে চলার চেষ্টা করুন। ফলে একমাস পরে চাইলেও আপনি আর অলসতার দেখা পাবেন না।