স্বাস্থ্য

উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের কারণ , লক্ষণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধ

উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন কে বলা হয় নীরব ঘাতক । কারণ অনেকের ক্ষেত্রেই এই রোগ ধরা পড়ে না । রক্তচাপ যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে তখন তাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বলে ।

বাংলাদেশের উচ্চ রক্তচাপকে সাধারণত প্রেসার বলে । কেউ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তা বলার আগে কমপক্ষে তিন দিন বিভিন্ন বিভিন্ন সময় তার রক্তচাপ মাপা দরকার । যদি তিন দিনেই তার রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে তবে তিনি হাইপার টেনশন এ ভুগছেন বলে নিশ্চিত করা হয় । যেকোনো বয়সী এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে । বাংলাদেশে উচ্চরক্ত চাপ রোগীর দিন দিন বাড়ছ ।

উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের
উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের

কারণ

সাধারণত বেশি ওজন , অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন , সঠিক খাদ্যাভ্যাসের ঘাটতির কারণে এমনটা হচ্ছে । তাই বলে খাদ্যাভ্যাসের আমূল পরিবর্তন আনতে হবে এমনটা নয় ।

লক্ষন

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর কোনো লক্ষণ থাকে না ।তবে মাথা ব্যাথা ও শরীর ভার লাগা ইত্যাদি সাধারণ লক্ষণ কিন্তু গুরুতর লক্ষণগুলো হলো ।

  • চোখে ঝাপসা দেখা ।
  • বমি হওয়া ।
  • নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া ।
  • নাক দিয়ে রক্ত পড়াণ,
  • এক্ষেত্রে দেরি না করে হাসপাতালে যাওয়া উচিত ।

প্রতিরোধ

  • কাঁচা লবণ খাওয়া কমাতে হবে ।
  • ওজন বেশি হলে কমাতে হবে ।
  • নিয়মিত হাঁটাচলা করতে হবে ।
  • ধূমপান অবশ্যই বন্ধ করতে হবে ।
  • সয়া সস পরিবার করতে হবে
  • অতিরিক্ত মাংস তেলযুক্ত খাবার খেয়ে লুসি আইসক্রিম খাওয়া যাবেনা ।
  • ডিমের কুসুম  ,খাসির মাংস , গরুর মাংস  ,কোলেস্ট্রল বাড়ায় তাই এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন ।
  • চাটনি  ,আচার  ,প্রচুর পরিমাণ তেল থাকে এগুলো পথ পরিহার করতে হবে এগুলো উচ্চ রক্তচাপের জন্য খুবই ক্ষতিকর ।

 

উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের
উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের

প্রতিকার

খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে তাই বলে আমূল পরিবর্তন তা নয় , ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন আনলেই হবে ।প্রতিদিন তাজা ফলমূল খাদ্যতালিকায় থাকতে হবে । এক্ষেত্রে লেবু জাম্বুরা, পেয়ারা ,  আমলকি , আপেল , কমলা , মাল্টা , ডালিম , কলা , নাশপাতি  ,পেঁপে ইত্যাদি খেতে হবে  ।

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই শাকসবজি থাকতে হবে  ।যেমন , পালং শাক , কলমি শাক , মুলা শাক , বাঁধাকপি , ফুলকপি , টমেটো , শশা ,  বেগুন , কুমড়া ইত্যাদি । খাদ্য তালিকায় পটাশিয়াম জাতীয় খাদ্যের পরিমাণ বাড়াতে হবে  ।পটাশিয়াম জাতীয় খাবার গুলো হল ডাবের পানি কলা টমেটোসহ কিছু শাক সবজি ।সর্বোপরি একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে এবং ওষুধ নিয়মিত চালিয়ে যেতে হবে ।

আমার আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন । এরকম উপকারী কিছু বিষয় জানার জন্য আমার ওয়েবসাইটটির সঙ্গে থাকবেন ধন্যবাদ ।

 

Md Jahidul Islam

আমি মোঃ জাহিদুল ইসলাম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ হতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করে 2018 সাল থেকে সমাজের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক,মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি অবলোকন করে- জীবনকে পরিপূর্ণ আঙ্গিকে নতুন করে সাজানোর আশাবাদী। নতুনের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরস্থায়ী- তাই নবরুপ ওয়েবসাইটে নিয়মিত লেখালেখি করি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button