সমস্যা এবং সমাধান

বিয়ের জন্য মেয়ে নির্বাচন। জীবনসঙ্গী খুঁজে নেওয়ার ৫টি সহজ উপায়

বিয়ের জন্য মেয়ে নির্বাচন। জীবনসঙ্গী খুঁজে নেওয়ার ৫টি সহজ উপায় অথবা পাত্র-পাত্রী নির্বাচনে করণীয় এখানে দেখুন। জীবনে প্রত্যেকে আপনাকে কষ্ট দিবে- তাদের মধ্যে থেকে যার কষ্ট  আপনি সহ্য করতে পারবেন  তাকেই জীবন সঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়া দরকার। লাইফ পার্টনারকে শুধুমাত্র ওয়াইফ হিসেবে চিন্তা করলে হবে না বরং ভবিষ্যতের  একজন ভালো  মা হিসেবেও বাছাই করতে হবে। এজন্য পত্রিকায় ভালো পাত্রী চাই এবং ভাল পাত্র চাই টাইটেল বিজ্ঞাপন দেখা যায়। এর কারণ হচ্ছে জীবনে প্রকৃত মানুষ বাছাই করার অভাব। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে, কেমন ছেলে অথবা কেমন মেয়ে আপনার পছন্দ তা প্রশ্ন করে বসে অনেকেই। 

সুতরাং, জীবনসঙ্গী হিসেবে কোন মানুষকে  বাছাই করতে হলে আপনার চরিত্র আচার-ব্যবহার এর সাথে খাপ খায় এমন সংগী বেছে নিতে হবে। আমাদের সমাজে বর্তমানে ডিভোর্সের পরিমাণ এত বেশি হওয়ার কারণ হচ্ছে আগে থেকেই জীবন সঙ্গীকে বুঝতে না পারা।  স্বামীর সঙ্গেই স্ত্রীর কাজে এবং কথার তারতম্য থাকলে অথবা মাইন্ড সিক্যুয়েন্স এক না হলে এরূপ সমস্যা দেখা যায়।  

কাজেই, লাইফ পার্টনার বাছাই করার উপায় সম্পর্কে ৫ টি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করব।  আশা করি নিম্নের পয়েন্টগুলো ফলো করে জীবনসঙ্গী নির্বাচন করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। এছাড়াও অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন ভালোবাসা করে বিয়ে করলে কি সুখ হয়না? এই প্রশ্নের উত্তর ও নিচের পাঁচটি ধাপে  এখন উপস্থাপন করবে। 

১) মিশতে হবেঃ যাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বাছাই করা কল্পনা করছেন তার সাথে অন্তত একটি বছর চলাফেরা করতে হবে। কোন কথায় তার রাগ, হিংসা, অভিমান এবং খুশি হয় তা আগে বাছাই করতে হবে। তার এই সকল আচরণ আপনার সাথে খাপ খায় কিনা অথবা আপনি  সহ্য করতে পারছেন কিনা তা আগে যাচাই করে নিন। যদি সহ্য করতে পারেন তাহলে তাকে টিক মার্ক দিন।

 

২) আচার-ব্যবহার পরীক্ষাঃ জীবনসঙ্গীর আচার-ব্যবহার পরীক্ষা করার জন্য তাদের ফ্যামিলির অথবা অন্য কারো সাথে কি বিহেভ করে তা থেকে ধারণা নিতে হবে।  আপনার সাথে যে  ব্যবহার করবে তা কখনোই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য যথেষ্ট মনে করবেন না। অথবা রেস্টুরেন্টের ওয়েটার, কাজেরলোক এমনকি রিসকা ওয়ালার সাথেও ব্যবহারের তাৎপর্য মাপুন। এই সবকিছুতে যদি সহজ অন্য কোনো আচরণ না পাওয়া যায় তাহলে জীবনসঙ্গী হিসেবে তাকে বাছাই করা রিক্সি হবে। আর যদি মনে হয় সে সকলকে সম্মান করে চলতে পারে তাহলে নো টেনশন।

৩) অতীত উপস্থাপন করাঃ মিথ্যে দিয়ে কখনো জীবন অথবা সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়না।  প্রথমে আপনি আপনার প্রতি তার সামনে উপস্থাপন করুন এবং তার কাছে অতীত সম্পর্কে জানতে চান। প্রথমে যদি আপনি একটি প্রেম করে থাকেন অথবা তিনিও অতীতের সকল সত্য উপস্থাপন করেনতা জানার পরেও মেনে নিতে পারলে নিঃসন্দেহে টিকমার্ক দিন।

৪) পছন্দ-অপছন্দঃ পছন্দ-অপছন্দের তারতম্য নির্ণয় করা একজন ভালো সঙ্গী নির্বাচন করার অন্যতম শর্ত।  আপনার পছন্দের সাথে তার পছন্দের মিল আছে কিনা তা যাচাই করে নিন। কারন অনেকেই আছেন পুঁইশাক বেশি পছন্দ করেন আবার অন্যদিকে তার স্ত্রী বৈশাখ একদমই দেখতে পারেনা তখন বিষয়টা ঝামেলার হয়ে যায় তাই না?  রুচি, অভ্যাস, শখ তার সাথে মেসি মেসি মেসি ম্যাচিং হলে নো টেনশন,  মনকে বলে দিন ইউ আর সিলেক্টেড।

৫) ভালো মা হিসাবে দেখুনঃ একজন ভালো  মা  নিঃসন্দেহে সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য উন্নতির চাবিকাঠি। এজন্যই সম্রাট নেপোলিয়ন বলেছিলেন ‘’তোমরা আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও আমি তোমাদেরকে একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দেব’’ 

সুতরাং একজন ভালো স্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হলেও একজন ভালো মা হিসেবে যোগ্যতা সম্পন্ন  না হলে তাকে গ্রহণ করা উচিত নয়। সন্তানকে রাস্তায় ফেলে রেখে অনেক মা নিজের সুখের জন্য অন্যত্র পাড়ি দিয়েছে এমন নজির সমাজে হাজার হাজার রয়েছে। আর আপনি যদি তাকে ভালো  মা হিসেবেও  সিলেক্ট করেন তাহলে টিকমার্ক দিয়ে দিন।

প্রিয় বন্ধুরা, জীবনে হাজারো মানুষ আমাদের জীবনে আসে কিন্তু সবাই যোগ্যতাসম্পন্ন নাও হতে পারে।  বিয়ের জন্য মেয়ে নির্বাচন করা লাইফের অন্যতম মূল ভিত্তি। নতুবা তিন তলার ভিত্তি দিয়ে দশ তলা নির্মাণ করা, আর সঠিক জীবনসঙ্গী বাছাই না করে দাম্পত্য জীবন  চালিয়ে যাওয়া একই কথা। 

Asad Pervez

আমি আসাদ পারভেজ । 2018 সাল থেকে সমাজের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক,মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি অবলোকন করে- জীবনকে পরিপূর্ণ আঙ্গিকে নতুন করে সাজানোর আশাবাদী। নতুনের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরস্থায়ী- তাই নবরুপ ওয়েবসাইটে নিয়মিত লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button