যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ার সাদামাটা এক ক্যথলিক পরিবারে জন্ম হয় জো বাইডেনের । জো বাইডেনের ছোটবেলা কেটেছে খুব অভাবে তার অন্যতম কারণ তার বাবার ব্যবসার ক্ষতি হয়েছিল । জো বাইডেন পড়াশোনা করেছেন আইন নিয়ে ।কলেজে পড়ার সময় জীবনসঙ্গিনী হিসেবে গ্রহণ করেন নেইলে হান্টার কে ।
১৯৭২ সালে মাত্র ৩০ বছর বয়সে সিনেটর হন তিনি । সেই জয় তিনি হয়ে ওঠেন ডেমোক্রিটাস দলের এক সম্ভাবনাময় তরুণ ।২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি ।
শিক্ষা জিবন
প্রচন্ড মেধাবী জো বাইডেন লেখাপড়া করেন আইন নিয়ে ।
দাম্পত্য জীবনে
কলেজে থাকাকালীন তিনি জীবনসঙ্গিনী হিসেবে বেছে নেন নেইলে হান্টারকে কিন্তু ১৯৭২ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী- পুত্রকে হারান জো বাইডেন । পরবর্তীতে তিনি এক স্কুল শিক্ষিকাকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে গ্রহণ করেন ।
রাজনীতি জিবন
জো বাইডেন কলেজ থেকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন ১৯৯৭২ সালে প্রথম সিনেটর নির্বাচিত হন । এবং ১৯৮০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের হয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন । কিন্তু তার বিরুদ্ধে অন্যের লেখা চুরির অভিযোগ ওঠে । তিনি প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ান । পরবর্তীতে ২০০৮ সালে তিনি আবারও ডেমোক্রিটাস দলের হয়ে প্রেসিডেন্ট পদে বারাক ওবামার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন । কিন্তু তিনি সেবারও হেরে যান । বারাক ওবামা সবাইকে চমকে দিয়ে তার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন কে নিয়োগ দেন ।
বর্ণময় কর্মজীবন
দীর্ঘদিন তিনি পররাষ্ট্র বিষয়ক আমেরিকা সিনেট কমিটিতে কাজ করেছেন ।
১১ বছর আগে মিশরীয় যুদ্ধের সময় প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশকে সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য অনুমতির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন ।ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে আফগানিস্তানে মার্কিন সৈন্য যোদ্দার করা এবং সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধের পক্ষে মত দেন ।
আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে মিস্টার বাইডেন মিশরের জন্য সৌদি আরবের প্রতি সমর্থন না দেওয়ার পক্ষে মত দেন । ইরানের সাথে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখা, জলবায়ু নিয়ে প্যারিস চুক্তির প্রতি সমর্থন দেওয়ার জন্য কংগ্রেসের প্রতি চাপ দিয়ে আসছেন ।
এছাড়াও তিনি চিনে মার্কিন স্বার্থ বজায় রাখা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন ।
মিস্টার বাইডেন প্রেসিডেন্ট পদের জন্য দৈর্ঘ্য ৫০ বছর লড়াই করে যাচ্ছেন ।বর্তমানে তিনি আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট ।