গনেশ পূজা হিন্দু ধর্মের মানুষদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পূজা ।এটি বহু প্রাচীনকাল থেকে উদযাপন হয়ে আসছে । গণেশ কে সিদ্ধিদাতা বলা হয় গণেশের কাছের মানুষ ধন, জ্ঞা্ মান যস, প্রতিপত্তি চেয়া থাকে । বাংলাদেশ-ভারত সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মহা উৎসাহের সহিত গনেশ পূজা পালিত হয়ে আসছে । কিন্তু বর্তমান করনা কালিইন সমায় কিভাবে বাড়িতে নিজেরাই পুজা করবেন সে বিষয় আলোচনা করব ।
পুজার দিন সকালে পুরো বাড়ি ভাল করে পরিস্কার পরিছন্ন করতে করতে হবে । তার পর গনেশ মুর্তি আনতে হবে । মুর্তি আসনে না বসা পর্যন্ত মুর্তির মুখে সাদা কাপড় দিয়ে ডেকে দিতে হবে ।
প্রয়োজনীয় উপকরন
প্রসাদ তৈরি
গণেশ পূজার বাসন
গণেশ পূজার বাসন কেমন হবে ? গণেশ পূজার বাসন হিসেবে তামার বদলে রুপোর বা রুপালি বাসন ব্যবহার করা দরকার । রুপোর বাসন যদি কোন পূজায় ব্যবহার করা হয় তাহলে বাড়ির সদস্যদের সৌভাগ্য ভালো হয় ।
বাড়ির কোন দিকে রাখতে হবে গণেশ মূর
বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে বা একেবারেই পশ্চিম দিকে গণেশের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করলেন পারে সমৃদ্ধি ভালো হয় । শোবার ঘরে মূর্তি প্রতিষ্ঠা না করাই ভাল ।
পূজা পদ্ধতি
ওম গাং গনপতয়ে নমঃ মন্ত্র উচ্চারণ এর মাধ্যমে শুরু হয় গণেশ আরাধনা ।আরতির থালা সুগন্ধি ধূপ জ্বালিয়ে সূচনা করুন গণেশের পুজোর । এরপর চন্দনকাঠের সামনে সাজিয়ে রাখুন পান পাতার উপর সুপারি । যারা গণেশ চতুর্থীর আগেই বাড়িতে মূর্তি নিয়ে এসেছেন তারা নির্দিষ্ট দিনের আগে পর্যন্ত কাপডুরুদিয়ে বিগ্রহের মুখ ঢেকে রাখুন । নিদিষ্ট দিনে মূর্তি স্থাপনের আগে খুলবেন না । গণেশ মূর্তি নিয়ে ঘরে প্রবেশের আগেই চাল চড়াতে ভুলবেন না ।
গণেশের প্রাণ প্রতিষ্ঠা পর শুরু হবে পুজা ।ঋকবেদে বা গনেশ সুক্তায় পাবেন প্রাণ প্রতিষ্ঠার মন্ত্র । প্রান প্রতিষ্ঠার পর শুরু করুণ আরতি । এরপর ষোড়শোপচারে গনেশ আরাধনা করুন । গনেশ বন্ধনায় ১৬ টি রিতির নামেই ষোড়শোপচার । এরপর ২১ টি দুর্বা ঘাস, ২১ টী মদক, ও লাল ফুল সাজিয়ে রাখুন হনেশের সামনে । মূর্তির মাথায় আখুন লাল চন্দনএর টিকা । এরপর গনেশের মুর্তির সামনে নারকেল ভেঙ্গে অসুভ শক্তিকে দূর করুন । গনেশের ১০৮ টি নাম জব করুন । মুর্তি সামনে করজোরে প্রর্থনা করুনপরিবারের সুখ সমৃদ্ধি ।
ওঁ শ্রী গণেশায় নমঃ’ বা ‘ওঁ গাং গণেশায় নমঃ ওঁ শ্রী গণেশায় নমঃ’ বা ‘ওঁ গাং গণেশায় নমঃ
এখন জেনে নেওয়া যাক গণেশ পূজার মন্ত্র প্রসঙ্গে:
গণেশ পূজা মন্ত্র
একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদর গজাননম।
বিঘ্নবিনাশকং দেবং হেরম্বং পনমাম্যহম।।
অর্থাৎ, যিনি একদন্ত, মহাকায়, লম্বোদর, গজানন এবং বিঘ্ননাশকারী সেই হেরম্বদেবকে আমি প্রণাম করি।
ধ্যান মন্ত্র
ওঁ খর্বং স্থূলতনুং গজেন্দ্রবদনং লম্বোদরং সুন্দরং
প্রস্যন্দম্মদগন্ধলুব্ধ মধুপব্যালোলগণ্ডস্থলম্।
দন্তাঘাত বিদারিতারিরুধিরৈঃ সিন্দুরশোভাকরং,
বন্দেশৈল সুতাসুতং গণপতিং সিদ্ধিপ্রদং কামদম্।।
গণেশ বন্দনা
বন্দ দেব গজানন বিঘ্ন বিনাশন।
নমঃ প্রভু মহাকায় মহেশ নন্দন।।
সর্ববিঘ্ন নাশ হয় তোমার শরণে।
অগ্রেতে তোমার পূজা করিনু যতনে।।
নমো নমো লম্বোদর নমঃ গণপতি।
মাতা যার আদ্যাশক্তি দেবী ভগবতী।।
সর্বদেব গণনায় অগ্রে যার স্থান।
বিধি-বিষ্ণু মহেশ্বর আর দেবগণ।।
ত্রিনয়নী তারার বন্দিনু শ্রীচরণ।
বেদমাতা সরস্বতীর লইনু শরণ।।
মন্ত্রঃ – ওঁ গাং গণেশায় নমঃ।
প্রণাম মন্ত্র
একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদর গজাননম।
বিঘ্নবিনাশকং দেবং হেরম্বং পনমাম্যহম।।
অর্থাৎ,যিনি একদন্ত, মহাকায়, লম্বোদর, গজানন এবং বিঘ্ননাশকারী সেই হেরম্বদেবকে আমি প্রণাম করি।
ওঁ সর্ববিঘ্ন বিনাশয় সর্বকল্যাণ হেতবে।
পার্বতী প্রিয় পুত্রায় গণেশায় নমো নমঃ।।
এভাবে আপনি বাড়িতে গনেশ পুজা করতে পারবেন ।