শক্তি বৃদ্ধি করার খাবার তালিকা

রোগে, শোকে এবং মানসিক দুশ্চিন্তায় মানুষের শরীরে শক্তি হ্রাস পেতে থাকে । যেকোনো কারনেই শরীর শুকিয়ে যাওয়া এবং রোগাটে হয়ে যাওয়া বা শক্তির ঘাটতি হোক না কেন, এমন কিছু খাবার রয়েছে যা মানুষের হাড় ক্ষয় থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন উপাদানের অভাব পুরন করে ।
মানুষের শরীর পাথরের তৈরী নয় যে, ক্ষয় হবে না। নানাবিধ কারণে মানুষের শরীরের শক্তি কমে গিয়ে বা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে গিয়ে স্বাভাবিক জীবন-যাপনে ব্যাঘাত ঘটে। এমতাবস্থায় এমন কতগুলো খাবার রয়েছে- যা অল্প পরিমাণে খেলেও মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি বডি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে।
যেমন- লাউ, গাজর, কালোজিরা এবং মধু মানুষের শরীরে দ্রুত শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। একটি টমেটোতে ২২-৩৩ ক্যালরি থাকে এবং এক প্লেট সাদা ভাতে 130 ক্যালরি বিদ্যমান । অন্যদিকে একটি ডিম এ ৭৮ ক্যালরি রয়েছে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, 2 টি ডিম যে পরিমাণ ক্যালোরি দিচ্ছে এক প্লেট ভাত তার থেকে কম ক্যালোরি দিচ্ছে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে- শুধু খাবার খেলেই হবে না বরং পুষ্টিমান খাবার খেতে হবে, তাহলে আপনি হয়ে উঠবেন শক্তিমান নতুবা কিছুদিন পর ওজন কমানোর উপায় খোঁজ করতে হবে।
সুতরাং, আমাদের যে সকল গুরুত্বপূর্ণ ভিজিটর শক্তি বৃদ্ধি করার খাবার তালিকা খোঁজ করছেন, তারা অতি সহজেই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে সাইন্টিফিক ভাবে প্রমাণিত কতগুলো খাবারের তালিকা এবং ক্যালরির পরিমাণ জানতে পারবেন-
শক্তি বৃদ্ধি করে যেসব খাবার
খাবারের পরিপূর্ণতা না পাওয়ায় একজন মানুষের শরীরে ভিটামিনের 6 টি উপাদান সহ বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। ফলে শরীরের এনার্জি কমে যাওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন রোগের সাথে মানুষকে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করতে হয়। পরিমাণ মতো এবং নিয়মমাফিক কতগুলো খাবার রয়েছে যা আপনার নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন।
ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) নির্দেশিকাগুলি সুপারিশ করে যে, গড় প্রাপ্তবয়স্করা প্রতিদিন দুইটি ফল (300g) খাওয়ার পরামর্শ দেয় , যখন আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন (এএইচএ) প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটি ফল খাওয়ার পরামর্শ দেয়।
শক্তি বৃদ্ধি করা খাবারের তালিকা
পরিশেষে বলা যায় যে, শক্তি বৃদ্ধি করার খাবার খোঁজ করার আগে শক্তি কমে যেগুলো খাবার তা অবশ্যই বর্জন করতে হবে। যেমন- সিগারেট, মদ এবংতামাকজাত দ্রব্য ইত্যাদি। যেহেতু, Health is wealth, সেহেতু যতই অরুচি এবং মানসিক দুশ্চিন্তা আসুক না কেন, নিয়মিত অন্তত খাবারের প্রতি মনোযোগ দেওয়া দরকার।