ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২২- অনলাইন কুইজ প্রশ্নোত্তর এবং বক্তব্য

বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ২০১৭ সালের ২৭ শে নভেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস প্রথম পালন করা হয়। তবে ২৭শে নভেম্বর এর পরিবর্তে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসকে প্রতিবছর ১২ ডিসেম্বর অর্থাৎ বিজয়ের মাসে পালন করে থাকে। এই দিবসের আওতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিযোগিতা, র্যালি, আলোচনা সভাও প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মশালা জাতীয় এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে অন্যতম সফল দিবস হিসেবে পালিত হয়।
সুতরাং, ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস অথবা আইসিটি দিবস উপলক্ষে ১২ ই ডিসেম্বর আইসিটি বিষয়ক বিভিন্ন কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় হাজারো প্রতিযোগী। কাজেই, ১২ ডিসেম্বরের আগে পূর্ণাঙ্গভাবে দিবসটি উদযাপন করে এবং পুরস্কার জেতার জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া, প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সিস্টেম এবং কুইজ প্রতিযোগিতার জন্য সম্ভাব্য প্রশ্ন-উত্তর সবার আগে পেতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ার চেষ্টা করুন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ কুইজ প্রতিযোগিতার প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২- ictd.gov.bd Quiz
ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস কবে?
ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস প্রতিবছর ২৭ নভেম্বর পালন করা হয়। তবে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশ গঠন করার লক্ষ্যে ২০৪১ সাল পর্যন্ত প্লানএবং ডেল্টা প্লান ২১০০ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে প্রতিবছর বাংলাদেশের বিজয়ের মাস ডিসেম্বর এর ১২ তারিখে পালন করা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় দিবসটি উদযাপন করে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২২ এর স্লোগান
ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের মূল প্রতিপাদ্য আইসিটি বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে প্রকাশ করা হয়। ২০২১ সালের এই দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জন, উপকৃত সকল জনগণ’। কিন্তু, ২০২২ সালের ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের প্রতিপাদ্য অথবা স্লোগান এখনো প্রকাশিত হয়নি।
ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস কেন এবং কিভাবে পালন করা হয়?
মূলত ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস বাংলাদেশের মূল স্তম্ভ যেমন- মানব সম্পদ উন্নয়ন, ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া, ই প্রশাসন ব্যবস্থা এবং তথ্য প্রযুক্তি শিল্প খাত গড়ে তোলা । আইসিটি বিষয়ক জ্ঞানার্জন হচ্ছে এই দিবসের মূল লক্ষ।
বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে তথ্য ও প্রযুক্তির রাষ্ট্রশক্তি পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস জাতীয়ভাবে পালন করা হয়। বিভিন্ন সরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠান আইসিটি বিষয়ক নানা ধরনের কর্মকাণ্ড, কুইজ প্রতিযোগিতা আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে প্রতিটি বিষয়ে জ্ঞান প্রদান করায় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস এর প্রধান এবং মুখ্য উদ্দেশ্য।
গত ৫ বারের মত ২০২২ সালেও ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ব্যাপক আয়োজন এর মধ্য দিয়ে পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। তবে,এই দিবসের মূল আকর্ষণ হচ্ছে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা এবং পুরস্কার জেতা।
ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে কুইজ প্রতিযোগিতা ২০২২
প্রতিবারের মতো এবারও তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ডিজিটাল কুইজ প্রতিযোগিতায় অনলাইনে অংশগ্রহণ করার জন্য ইতোমধ্যে নানা ধরনের প্রশ্ন উত্তরসহ কর্মসূচি প্রকাশ করেছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ ক্যুইজ প্রতিযোগিতা সকল প্রশ্ন উত্তর এবং রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার সকল প্রক্রিয়া আমাদের অন্য নিবন্ধে প্রকাশ করা আছে। আগ্রহী বন্ধুরা আমাদের সেই আর্টিকেল থেকে তা দেখে নিতে পারেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে বক্তব্য
ডিজিটাল বাংলাদেশ উপলক্ষে আপনি যদি বক্তব্য রাখতে চান তাহলে আলোচনার মূল সারমর্ম আমরা এখানে তুলে ধরছি। যেমন-
- আসসালামু আলাইকুম, আদাব এবং নমস্কার দিয়ে বক্তব্য শুরু করুন।
- ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস এর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করুন।
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের সফলতা বর্ণনা করুন।
- বাস্তবায়িত হওয়া, প্রকল্প নির্ধারণ এবং আগামীর নির্ধারিত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে আইসিটির খাতের অবদান তুলে ধরুন।
- বাংলাদেশের শহুরে এবং প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত অনলাইন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের সাফল্য তুলে ধরুন।
- সর্বশেষ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মেগাপ্লান বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করে বক্তব্য শেষ করুন।
উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, আউটসোর্সিং বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান ইন্ডিয়ার পরেই. কাজেই, ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস পালনের মধ্য দিয়ে সকলের কাছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি যে একটি দেশের উন্নতির পূর্ব শর্ত তা উপস্থাপন করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তিতে যে দেশ যত বেশি উন্নত সে ততো বেশি শক্তিশালী। তাই আর্টিকেলটি ভালো লাগলে সকলের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।