উৎসব

বুদ্ধ পূর্ণিমা কত তারিখে ২০২২- বুদ্ধ পূর্ণিমার ঐতিহ্য !

যতগুলো উৎসব পালন করা হয় তার মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ উৎসব হচ্ছে ভেসাক  দিবস.এই দিনটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে বুদ্ধ সন্ন্যাসীরা বিভিন্ন পাখি এবং পশুদের মুক্ত করে দেওয়ার পাশাপাশি দরিদ্র এবং অভাবীদের সাহায্য সহযোগিতা করার মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়. এছাড়াও সকলে মিলে নিরব মিছিল এবং ধ্যানের মধ্য দিয়ে দিয়েসিঙ্গাপুর শহর পৃথিবীর 12 টিরও বেশি দেশে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালন করা হয়.  

1955 সালে দিবসটিকে জাতীয় ছুটির আন্ডারে নিয়ে আসা হয়.  সেই থেকে সিঙ্গাপুরে সরকারি ছুটি হিসেবে সমগ্র সিঙ্গাপুরে উৎসবমুখর পরিবেশে বুদ্ধপূর্ণিমা অর্থাৎ ভেসাক দিবস পালন করা হয়. আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক  বুদ্ধ পূর্ণিমা এর সময়সূচী এবং ভেসাক দিবসের তাৎপর্য সহ ঐতিহ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি.

বুদ্ধ পূর্ণিমা কত তারিখে ২০২২?

চিনা ক্যালেন্ডার অনুসারে দিবসটি চতুর্থ মাসের প্রথম পূর্ণিমা এবং গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে তা মে মাসে অনুষ্ঠিত হয়.  2022 সালের  বুদ্ধ পূর্ণিমা 15মে, 2022 রবিবার অনুষ্ঠিত হবে. আপনারা জানেন যে এই দিবসটি শুধুমাত্র শ্রীলঙ্কায় প্রথম বৌদ্ধদের ফেলোশিপের প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল.

এই দিবসের মধ্যে অন্তর্নিহিত রয়েছে  বৌদ্ধদের পবিত্র মানব গৌতম বুদ্ধের জন্মদিন. সে দিক দিয়ে বিবেচনা করলে বৈশাখ মাসের  চন্দ্রগ্রহণ এই দিবসের তাৎপর্য পরিস্ফুটিত করে.  যাইহোক,সিঙ্গাপুরে বুদ্ধ পূর্ণিমা 15মে সরকারি ভাবে পালন করা হবে.

বুদ্ধ পূর্ণিমার ঐতিহ্য

নেপালে জন্মগ্রহণকারী বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা শাক্যমুনি বুদ্ধ 3,000 বছর আগে ধর্মতান্ত্রিক এই দিবসটি ঐতিহ্যগতভাবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার জন্ম ও মৃত্যুর বাংলাদেশসঠিক তারিখ সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত  থাকলেও বৌদ্ধ পন্ডিত তার জন্য পাঁচশত বছর পূর্বে বলে জানিয়েছেন. তবে বৌদ্ধ ঐতিহ্য অনুসারে, তিনি 8 এপ্রিল, 1029 খ্রিস্টপূর্বাব্দে জন্মগ্রহণ করেন বলে স্বীকার করেছেন.

বৌদ্ধদের মাঝে ঐতিহাসিক কার্যকলাপ অক্ষয় করে রাখার জন্য বুদ্ধ পূর্ণিমাকে উৎসবের দিন হিসেবে সিলেক্ট করা হয়েছে.  এ দিবসটি উদযাপনের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধদের  কৃষ্টি কালচার দেখা যায়. উদাহরণস্বরূপ-  এই দিনে পশুপাখিদের উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় এবং ধনী-গরীব সকলেই মিলে বুদ্ধ পূর্ণিমা আনন্দের সাথে পালন করা হয়.

শাক্যমুনির শাক্য গোদরেজ পারিবারিক নাম ছিল গৌতম (শ্রেষ্ঠ গাভী).  তার জ্ঞানের বিস্তার ভান্ডার থেকে বুদ্ধ পণ্ডিতরা তাকে উপাধি দিয়ে গৌতম বুদ্ধ নামে অভিহিত করা হয়. উপাধির উৎস থেকে অনেক বৌদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক এবং ঐতিহাসিক গবেষকদল 8 এপ্রিল বুদ্ধের জন্মদিন পালন করে. তবে এটি ধারণা মাত্র.

ইতিহাস থেকে জানা যায় যে সুজাতা নামের একজন মহিলা গৌতম বুদ্ধের জন্মদিন ক্ষীর দিয়েছিলেন এবং তখন থেকেই  বুদ্ধ পূর্ণিমা লোক সমাবেশে ক্ষীর বিতরণ করার ঐতিহ্য হয়ে ওঠে. সুতরাং বুদ্ধ পূর্ণিমা ঐতিহ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে,  এই দিনে বৌদ্ধরা পশুপাখির মুক্তি,  গরিব দুঃখীদের মাঝে অর্থ সহায়তা এবং চির বিতরণের মধ্য দিয়ে সারাদিন ব্যাপী আনন্দের সাথে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালন করা হয়. এছাড়াও আটটি স্পোক বৌদ্ধ ধর্মের মহৎ আটগুণ পথের প্রতীক বুদ্ধ পূর্ণিমার ঐতিহ্যকে সাফল্যমন্ডিত করে।

সবশেষ, আমরা আশা করছি যে আপনারা সকলেই বুদ্ধ পূর্ণিমা অর্থাৎ ভেসাক  দিবস আনন্দের সাথে পালন করছেন। যারা এখনো নিজেকে বদ্ধ পূর্ণিমায় আনন্দের প্রকৃত উৎস খুঁজে পাননি তারা অন্তত ঐতিহ্যগতভাবে এ আর্টিকেল এর মধ্য দিয়ে  বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজন এবং পরিবারের সকলে মিলে ভেসাক  দিবস  সার্থক করে তুলুন। এছাড়াও আর্টিকেলটি ভাল লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আপনাদের মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

Asad Pervez

আমি আসাদ পারভেজ । 2018 সাল থেকে সমাজের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক,মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি অবলোকন করে- জীবনকে পরিপূর্ণ আঙ্গিকে নতুন করে সাজানোর আশাবাদী। নতুনের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরস্থায়ী- তাই নবরুপ ওয়েবসাইটে নিয়মিত লেখালেখি করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button