স্বাস্থ্য

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির কার্যকরী উপায়- নিউরোলজি টিপস

শৈশব-কৈশোরে মানুষের মেধা যতটা সার্ফ  থাকে, বয়স হওয়ার সাথে সাথে স্মৃতিশক্তি কিছুটা হলেও কমে যায় ।পরিবেশ পরিস্থিতি এবং জীবনের উত্থান-পতন এ মানুষের স্মৃতিশক্তি কমে যায় ।স্মৃতিশক্তিকে দীর্ঘদিন ধরে রাখার কিছু উপায় এবং কার্যকারী টিপস নিয়ে এখানে আলোচনা করা হয়েছ।যে কেউ চাইলে নিজে এবং বাচ্চাকাচ্চার ভবিষ্যতের উন্নতির জন্য উপায়গুলো অনুকরণ করতে পারবেন। যদিও মেধা বিধাতার সৃষ্টি তবুও জীবনের কিছু প্রয়োগে মেধার পরিচয় পাওয়া যায় যা প্রাকটিসের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়। অল্প কথাতেই কেউ মনে রাখতে পারে, আবার কেউ দীর্ঘক্ষন পড়ে মনে রাখতে পারে না ।তার কারণেও এখানে আলোচনা করা হয়েছে  ।

অনেক সময় দেখা যায় মানুষের নাম মনে করতেও সময় লাগে অথবা কোন জিনিস পেটে আসছে অথচ মুখে আসছে না,  এমনটা হওয়া স্মৃতিশক্তি লোক নয় কি? এছাড়া কিছু কিছু খাবার রয়েছে যা মানুষের মস্তিষ্ক বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে । ন্যাচারালি আপনি যদি আপনার মস্তিষ্কে সব দেশ এবং টেকনো করতে চান, তবে অনলাইনে স্ক্রিপ্ট না করে পুরো নিবন্ধটি পড়ুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন।

আপনারা জানেন যে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেই বিশ্ব যখন নিবিড় চিন্তায় মগ্ন ঠিক তখনই বিশেষজ্ঞরা পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে- দুধ, ডিম এবং পরিমিত খাবার সকলের প্রয়োজন ।আসলে আমরা জানি না যে, কোন খাবারে কোন ধরনের ভিটামিন রয়েছে । কাজেই সন্তানের ভবিষ্যত রক্ষার্থে এবং সন্তানকে বুদ্ধিমান করে তুলতে স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর কার্যকরী উপায় গুলো নিজে অন্ন গ্রহণ করুন এবং সন্তানকে তা করাতে সহযোগিতা করুন।

আমার দেখা দুজন ছাত্রের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ পড়া ছাত্রটি স্বল্প সময় ব্যয় করা ছাত্রের চেয়েও অধম। কারণ হচ্ছে স্মৃতিশক্তির কমবেশি আপনার যদি এরকম কোন সমস্যা হয়ে থাকে তবে নিশ্চয়ই এই পোস্টটি আপনাকে ভীষণ ভাবে সহযোগিতা করবে ।

sriti sokti baranor upay

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায়

আপনি কি কোন কথা তাড়াতাড়ি ভুলে যান কোন কিছু স্মরণ করতে সময় লাগছে? তবে আপনি অনেকেই এই পোস্টে তার সমাধান পেয়ে যাবেন ।স্মৃতিশক্তি নিজের সম্পত্তি  সুচিন্তার মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর কয়েকটি কার্যকারী উপায় অবলম্বন করার কথা বলেন ।চলুন তাহলে স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায় গুলো অনুকরণ করি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর যে উপায়গুলো অবলম্বন করার প্রতি আহ্বান জানান  । সে সকল কাজ নিচে আলোচনা করা হয়েছে ।যে কেউ চাইলেনিচের উপায়গুলো অবলম্বন করে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারেন।

> টেনশন বা মানসিক চাপ থেকে দুরে থাকুন:

টেনশন বা মানসিক চাপ স্মৃতিশক্তি নষ্ট করে দেয় ।কাজে অন্তরে সুচিন্তা নিয়ে আসা এবং দুশ্চিন্তা থেকে বিরত থাকা স্মৃতিশক্তিকে বজায় রাখার অন্যতম মাধ্যম ।সুচিন্তা মানুষের মনকে পবিত্র করে তোলে এবং মানসিক প্রশান্তি উপলব্ধির সাথে সাথে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি হয।কাজেই মানসিক দুশ্চিন্তা আউট করে চলুন।

> ধূমপান থেকে বিরত থাকা:

 একজন ধূমপায়ী নিতান্তই একজন স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে কম বুদ্ধিমানের অধিকার।ধূমপানের কারণে ফুসফুসের অক্সিজেনসমৃদ্ধ হিমোগ্লোবিন  সৃষ্টিতে ব্যাঘাত ঘটে ।তাই ধূমপান ট্যাগ  করার চেষ্টা করুন। তবে একথা নিতান্তই প্রমাণিত হয়েছে যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে তাদের মেধা সার্বক্ষণিক  ফ্রেশ থাকে।

> পর্যাপ্ত ঘুমান:

পর্যাপ্ত ঘুমান পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম অন্তরে প্রশান্তি বৃদ্ধি করে এবং যে কোন কাজকর্ম নিরলস ভাবে কাজ করার শক্তি যোগায।একজন স্বাভাবিক সুস্থ মানুষের প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানোর প্রয়োজন ।সুতরাং পর্যাপ্ত ঘুম স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

> গান শুনুন:

গান শুনুন, গানে যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে।  স্মৃতিশক্তিকে খাটানোর পরিক্রমা সতেজ রাখুন ।গানের লিরিক্স মনে করার চেষ্টা করুন যার ফলে স্মৃতিশক্তি বৃত্তি পাওয়ার উপায় হতে পারে।

> পুষ্টিকর খাবার খান:

পুষ্টিকর খাবার খান  সবুজ শাকসবজি এবং পুষ্টিকর খাবার ও চর্বি জাতীয় খাবার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা কর। অনেক নিউরোলজিস্ট স্মৃতিশক্তি রক্ষার্থে চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে অধিক পরিমাণে চর্বিজাতীয় খাবার না খাওয়াই শ্রেয় প্রতিদিন একটি করে ডিম স্মৃতিশক্তি  বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

> ব্যায়াম করুন: 

ব্যায়াম করুন।  নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের কোষগুলো সতেজ থাকে পাশাপাশি নিউরনের কোষগুলো সতেজ রাখে । নিয়মিত ব্যায়াম করলে মানসিক প্রশান্তি হয় এবং খাওয়ার রুচি বৃদ্ধি পায় হলে স্মৃতিশক্তি তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখে।

> Puzzles, Cards খেলুন: 

Puzzles, Cards খেলুন খেলাধুলা মস্তিষ্কের শক্তি,  দেহে এবং মনে প্রশান্তির  যোগান দেয।এছাড়া স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য দাবা খেলতে পারেন।

 

Md Jahidul Islam

আমি মোঃ জাহিদুল ইসলাম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ হতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করে 2018 সাল থেকে সমাজের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক,মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি অবলোকন করে- জীবনকে পরিপূর্ণ আঙ্গিকে নতুন করে সাজানোর আশাবাদী। নতুনের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরস্থায়ী- তাই নবরুপ ওয়েবসাইটে নিয়মিত লেখালেখি করি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button