পহেলা বৈশাখ 2021: হ্যাপি বাংলা নববর্ষ ইমেজেস & কোটস
বাংলা নববর্ষের স্বাগতম। বাংলা নববর্ষ 2021 যখন দোরগোড়ায় এসে হাতছানি দিয়ে ডাকছে, তখন আমাদের আকুল হৃদয় আনন্দের সন্ধান করতে ব্যাকুল জিজ্ঞাসা অন্তরে উপলব্ধি হচ্ছে। বাংলা নববর্ষকে ঘিরে সমগ্র বাঙালি জাতি নানাবিধ কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। দিনের পর দিন অতিক্রম করে নববর্ষকে ঘিরে চলে নানান রকমের কর্মকাণ্ড। নানান রকমের প্রতি সভায় এ দিনটিতে। বাঙালির ঐতিহ্য পান্তা ভাত, ইলিশ এবং শুটকির ভর্তা নতুন বছরকে সন্তোষজনক মর্মার্থ একে দেয়। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে বলে আনন্দের সংকটাপন্ন ফিলিংস অনুভূতি হয় না। বাংলার নারীরা শাড়ি পড়ে দিনটি উপভোগ করে এবং পুরুষরা বাংলার ঐতিহ্যবাহী লুঙ্গি- পাজামা পরে নতুন বর্ষকে বরণ করে নেয়। বাংলাদেশ ভারত সহ বিভিন্ন প্রান্তে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়।
সুতরাং, এত কিছু জানার পরেও আপনি যদি বাংলা নববর্ষকে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে এবং আকর্ষণীয়ভাবে উদযাপন করতে চান, তবে কিছু ইমেজ আপনাকে আনন্দের সন্ধান দিতে পারে। আমাদের যে সকল গুরুত্বপূর্ণ ভিজিটর অনলাইনে পহেলা বৈশাখ বা হ্যাপি বাংলা নিউ ইয়ার 1428 বা ইংরেজি 2021 সালের গুরুত্বপূর্ণ এবং নতুন এইচডি ইমেজ সার্চ করছেন, তাদের জন্য এই পোস্টটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। বন্ধুরা, বাংলা নতুন বছরকে একটু ভিন্নভাবে স্বাগত জানাতে এবং পূর্ববর্তী সকল কালিমা মুছে ফেলতে আমাদের সকলের কামনা। সুতরাং নিচের ইমেজগুলো ডাউনলোড করুন এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে বাংলা নতুন বছরকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরুন।
পহেলা বৈশাখ 2021 কবে?
বসন্তের ছোঁয়া গায়ে লাগার সাথে সাথে পহেলা বৈশাখ আমাদের দরজায় এসে হাজির হয়েছে। বসন্তের কোকিল ডাকতে শুরু করার সাথে সাথে শুভ নববর্ষের বার্তা আমাদের কানে এসে পৌঁছেছে। আপনারা জানেন যে প্রতি বছর 14 এপ্রিল পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠিত হয়। ইংরেজি এবং বাংলা ক্যালেন্ডারের সামঞ্জস্য থেকে 2021 সালের বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন 14 এপ্রিল, বুধবার অনুষ্ঠিত হবে।
হ্যাপি বাংলা নববর্ষ পিকচার 2021
বাংলা নববর্ষ আনন্দের অন্যতম মাধ্যম। প্রতিটি বাঙালি জাতির ঘরে ঘরে 14 এপ্রিল পান্তা এবং ইলিশ মাছের সুস্বাদু গন্ধে মুখরিত হয়। বাংলা নববর্ষকে ঘিরে আমাদের আয়োজন এর এপর্যায়ে কিছু এইচডি ইমেজেস আমরা সরবরাহ করেছি। আপনি চাইলে সেই ইমেজ গুলো কপি করে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করে যথেষ্ট আনন্দের উৎস সন্ধান করতে পারেন।
চৈতে গিমা তিতা, বৈশাখে নালিতা মিঠা, জ্যৈষ্ঠে অমৃতফল আষাঢ়ে খৈ, শায়নে দৈ। ভাদরে তালের পিঠা, আশ্বিনে শশা মিঠা, কার্তিকে খৈলসার ঝোল, অগ্রাণে ওল। পৌষে কাঞ্ছি, মাঘে তেল, ফাল্গুনে পাকা বেল।
– ক্ষণা
শুনরে বেটা চাষার পো, বৈশাখ জ্যৈষ্ঠে হলুদ রো। আষাঢ় শাওনে নিড়িয়ে মাটি,ভাদরে নিড়িয়ে করবে খাঁটি। হলুদ রোলে অপর কালে, সব চেষ্টা যায় বিফলে।
– ক্ষণা
“বছর ঘুরে এলো আরেক প্রভাতী ফিরে এলো সুরের মঞ্জুরী পলাশ শিমুল গাছে লেগেছে আগুন এ বুঝি বৈশাখ এলেই শুনি মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে বাসন্তী রঙ শাড়ী পরে ললনারা হেটে যায়”
– মাকসুদ
“ফিরে ফিরে বারবার সে এসেছে প্রতিটি বারে সেই সে নবীন পহেলা বৈশাখ… শুভকামনায় নববর্ষ রঙিন”
“শোনা যায় ভোরের আযান আর কোকিলের কলতান আর ফেসবুকে জ্বল-জ্বলন্ত নববর্ষের জয়গান”
“আনন্দে আতঙ্কে নিশি নন্দনে উল্লাসে গরজিয়া মত্ত হাহা রবে ঝার সঞ্জীব বাধ উন্মাদিনী কালবৈশাখীর নৃত্য হোক তবে।”
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
“এক হালি ইলিশের দাম ৪০ হাজার টাকা। গ্রামের মৃৎশিল্পীর পণ্য, বাঁশ ও বেতশিল্পীর কাজ, বিন্নি ধানের খই, সাজ-বাতাসার ব্যবসায়ীদের কী হবে? নিজেকে গ্রাম্য ও রক্ষণশীল পরিচয় দিতে আমার লজ্জা নেই। বৈশাখী মেলায় ঘুরে কেনাকাটার যে আনন্দ ‘হোম ডেলিভারি’তে কি তার চেয়ে বেশি সুখ?”
– সৈয়দ আবুল মকসুদ
“বৈশাখ হে, মৌনী তাপস, কোন্ অতলের বাণী এমন কোথায় খুঁজে পেলে। তপ্ত ভালের দীপ্তি ঢাকি মন্থর মেঘখানি এল গভীর ছায়া ফেলে”
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
“শুধু দিনযাপনের শুধু প্রাণধারণের গ্লানি শরমের ডালি, নিশি নিশি রুদ্ধ ঘরে ক্ষুদ্রশিখা স্তিমিত দীপের ধূমাঙ্কিত কালি, লাভ-ক্ষতি-টানাটানি, অতি ক্ষুদ্র ভগ্ন-অংশ-ভাগ, কলহ সংশয়– সহে না সহে না আর জীবনেরে খণ্ড খণ্ড করি দণ্ডে দণ্ডে ক্ষয়।”
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বাংলার মাটি, বাংলার মা এবং বাংলা ভাষাকে ভালবাসি বাংলা নববর্ষ উদযাপন করার অধিকার বহাল থাকুক প্রত্যেকের জীবনে এই কামনায় সবাইকে সমাপনীতে জানাচ্ছি শুভ নববর্ষ 1428.