World V. I. P Zone

চার্লি চ্যাপলিন এর জীবনী

চার্লি চ্যাপলিন এর জীবনী ব্রিটিশ চলচ্চিত্র অভিনেতা পরিচালক ও সুরকার। চার্লি চ্যাপলিন এর পুরো নাম স্যার চার্লস স্পেন্সার চ্যাপলিন জুনিয়র। তবে চার্লি চ্যাপলিন নামে তিনি অনেক পরিচিত এবং সবার প্রিয় একজন অভিনেতা। তার শৈশব কাল অনেক দারিদ্র তার মাঝে অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু তারপরও তার মুখে জুড়ে ছিল দুষ্টুমি আর দুষ্টুমি। ঢিলেঢালা কালো প্যান্ট, কোর্ট, কাল মোচ, কালো টুপি হাতে লাঠি আর পাতি হাঁসের মতো তার চলাফেরা। যে কেউ দেখলেই মনে করবে ইনি চার্লি চ্যাপলিন। মানুষকে হাসানোর এক অদ্ভুত ক্ষমতা অর্জন করে নিয়েছিলেন এই চার্লি চ্যাপলিন। হলিউড চলচ্চিত্র শিল্পের শুরু থেকে মধ্যকাল পর্যন্ত তার পরিচালনা ও অভিনয় দ্বারা সাফল্যের শীর্ষস্থানে আরোহন করেন। চলচ্চিত্রের শিল্পজগতে চ্যাপলিনের প্রভাব অনস্বীকার্য। চার্লস স্পেনসার চ্যাপলিন এর জন্ম: ১৮৮৯ সালের ১৬ এপ্রিল তিনি জন্মগ্রহণ করেন।তার জন্মের দুই বছর পরেই বাবা-মার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তারপর থেকেই লন্ডনে তিনি অনেক কষ্টে তার শৈশব জীবন অতিবাহিত করেন। তার পিতার মৃত্যুর পর এবং মায়ের অর্থাভাবে কারণে তাকে 9 বছর বয়সেই বিভিন্ন কর্মশালায় পাঠানো হয়। যখন তার বয়স 14 বছর তখন তার মায়ের অবস্থার অবনতি হলে তাকে পাগলা গারদে পাঠানো হয়।চার্লি চ্যাপলিন চ্যাপলিন তার শৈশব থেকেই শিশুশিল্পী হিসেবে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন রঙ্গশালায় কর্মরত ছিলেন। চ্যাপলিনের বয়স যখন 19 বছর তখন তিনি একটি স্বনামধন্য ফ্রেড কার্নো কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। সেখানে তিনি হলিউড চলচ্চিত্র সাথে যুক্ত হন এবং কিস্টোন স্টুডিওজের এর সাথে যুক্ত হয়ে 1914 সালে বড় পর্দায় অভিনয় শুরু করেন।তার নির্মিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হল দ্যা কিড যা 1921 সালে প্রকাশ হয়। এর পরে তিনি আওম্যান অব প্যারিস 1923 সালে,1925 সালে দা গোল্ড রাশ এবং দা সার্কাস 1928 সালে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন এবং তিনি অভিনয় করেন। তিনিই 1931 সালে সিটি লাইটস এবং 1936 সালে মডার্ন টাইমস চলচ্চিত্র নির্মাণ করে অনেক প্রশংসিত হন। 1940 এর দশকে চ্যাপলিনকে নিয়ে অনেক বিতর্ক শুরু হয় এবং তার জনপ্রিয়তা কমতে থাকে। সে সময় তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আসে এবং তিনি কম বয়সী এক মেয়েকে বিয়ে করায় তার বিরুদ্ধে অনেক নেতিবাচক ধারণা চলে আসে। তিনি তার দাম্পত্য জীবন শুরু করেন 1918 সালে মিল্ড্রেদ হ্যারিস নামে এক মেয়েকে বিয়ে করেন। একে একে তিনি চারটি বিয়েতে আবদ্ধ হন। তার মোট সন্তান হল 11 জন। 1977 সালের 25 ডিসেম্বর সুইজারল্যান্ডে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল 88 বছর।

Md Jahidul Islam

আমি মোঃ জাহিদুল ইসলাম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা বিভাগ হতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করে 2018 সাল থেকে সমাজের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক,মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি অবলোকন করে- জীবনকে পরিপূর্ণ আঙ্গিকে নতুন করে সাজানোর আশাবাদী। নতুনের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরস্থায়ী- তাই নবরুপ ওয়েবসাইটে নিয়মিত লেখালেখি করি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button