খাটি মধু চেনার উপায়
মধুর গুনের কথা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। জন্মের পর নানি দাদিরা মুখে মধু দেয়নি এমন মানুষ পাওয়া দায়। মধুর নানাবিধ উপকর থাকলেও খাটি মধু পাওয়া খুব দায়। কারণ খাটি মধু আর ভেজাল মধু দেখতে একেই রকম হওয়ায় সেখান থেকে আসল মধু চেনা খুব কষ্টকর । তাই আজকে আমি খাটি মধু চেনার উপায় বলব।
- মধুকে এক পাত্রে নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। খাটি মধু ঠান্ডায় জমে যাবে না। ভেজাল মধু পুরোপুরি না জমলেও আস্তরণ আকারে তলানিতে জমবে।
- একটা কগজে কয়েক ফোটা মধু নিন, তারপর যেখানে পিপড়া আছে সেখানে রেখে দিন। খাটি মধুতে কখন পিপড়া ধরবে না। কিন্তু ভেজাল মধুতে খুব সহজে পিপড়া ধরবে।
- এক গ্লাস পানিতে এক চামুচ মধু দিন তার পর ভাল ভাবে নাড়ানি দিয়ে মেশান। মধু যদি পুরোপুরি মিশে যায় তবে তা ভেজাল মধু। আর যদি ছোট ছোট বুধ বুধ আকারে থাকে তবে তা আসল মধু ।
- একটি কটন বারে সামান্য পরিমাণ মধু মেখে নিন। তারপর একটা আগুনের শিখার মধ্যে ধরুন। যদি আগুন জ্বলে উঠে তবে তা খাটি মধু। আর যদি না জ্বলে তবে মধুতে পানি মেশানো আছে। ভেজাল মধু।
মধুর উপকারিতা
মধুর নানাবিধ উপকারিতা আছে । মধুকে বলা হয় সকল রোগের মহাঔষধ । মধুর হাজার উপকারিতা আছে আমি তার মধ্যে কয়েকটা বর্ণানা করলাম মধুর উপকারিতা পাবার জন্য আপনাকে পরিমিত ও নিয়মিত মধু খেতে হবে ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।দৃষ্টিশক্তি ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে।মধুর রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা, যা দেহকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের হাত থেকে রক্ষা করে । অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ও কোষকে ফ্রি রেডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে ।মধুর ক্যালরি রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়, ফলে রক্তবর্ধক হয়।গ্লাইকোজেনের লেভেল সুনিয়ন্ত্রিত করে ।আলচার ও গ্যাস্ট্রিক রোগের জন্য উপকারী । ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ মধু স্নায়ু এবং মস্তিষ্কের কলা সুদৃঢ় করে । মধুতে স্টার্চ ডাইজেস্টি এনজাইমস এবং মিনারেলস থাকায় চুল ও ত্বক ঠিক রাখতে অনন্য ভূমিকা পালন করে ।
এছাড়াও আপনি সহজ কিছু রোগের জন্য মধু ব্যবহার করতে পারেন
হজমে সহায়তা
যাদের হজমের সমস্যা আছে ।তারা মধু ব্যবহার করতে পারেণ । কারণ মধুতে রয়েছ ডেক্সট্রিন তা সরাসরি রক্তে প্রবেশ করে তাৎক্ষণিক ক্রিয়া করে হজম সম্পন্ন করে ।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তাদের জন্য মধু একটি খুবই উপকারী ওষুধ বলা যেতে পারে । কারণ মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে । প্রত্যেকদিন সকালে এক চামউচ মধু খেলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা সমাধান হবে
রক্তশূন্যতা দূর করে
যারা রক্ত শূন্যতায় ভোগে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে তারা নিয়মিত সেবন করলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ স্বাভাবিক হবে এছাড়াও মধুতে রয়েছে বেশি পরিমাণে লৌহ কপার ম্যাঙ্গানিজ রক্ত গঠনে খুব সহায়ক
অনিদ্রায় মধু
আপনি যদি অনিদ্রায় ভোগেন রাতে ঘুমাতে পারেন না তাহলে প্রতিদিন ঘুমার আগে এক গ্লাস পানির সাথে দুই চামচ মধু খেলে আপনার অনিদ্রার সমস্যা সমাধান হবে
যৌন দুর্বলতায়
বিশেষ করে পুরুষদের যাদের যৌন দুর্বলতা রয়েছে তারা প্রতিদিন মধু মিশিয়ে খান তাহলে উপকার পাবেন
রূপচর্চা
রূপচর্চা মেয়েরা রূপচর্চায় ক্ষেত্রে মাক্স হিসেবে মধু ব্যবহার করে নিয়মিত মধু ব্যবহার করে ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের উজ্জলতা ফিরিয়ে আনে
এছাড়াও মধু গলার স্বর ঠিক করার জন্য নিয়মিত খেলে ভালো ফল পাওয়া যায় উচ্চ রক্তচাপ কমাতে মধু ভূমিকা পালন করে মধু রক্ত পরিষ্কার করে