অনেকে অসচেতনতা কারণে গরম খাবার এবং গরম পানীয় যেমন- চা, কফি, পিজ্জা জিব্বায় লাগানোর সাথে সাথে মানবদেহের হেড অফিসে (মস্তিষ্ক) এক ধরনের অস্বস্তিকর উপলব্ধির সৃষ্টি হয় । ফলে- খাবার গ্রহণ থেকে শুরু করে কথাবার্তা এবং শরীরের আনুষঙ্গিক বেদনার উপসর্গ প্রকাশিত হয় । চা-কফি পিজ্জা ইত্যাদি নিত্যনৈমিত্তিক খাবার । প্রতিদিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে চা পান না করলে মাথার ঝিমঝিমানি যেন থামতেই চায় না । অনেকেই নেশা হিসাবে চা, কফি পান করে থাকেন । হঠাৎ করে মানুষের জিব্বা অথবা ঠোঁটের তাপ ধারণ ক্ষমতার বাইরে বিভিন্ন পানীয় এর তাপমাত্রা বেশি হয়ে যায় । ফলে দ্রুত জিব্বায় অথবা ঠোঁটে ফোসকা পড়ে যায়। আল্লাহ না করুক আপনি যদি এ রকম সমস্যার সম্মুখীন হন- তাহলে কি করবেন?
আসুন, দূর্ঘটনাবশত হঠাৎ করে গরম খাবার বা পানীয় পান করার পর জিব্বা অথবা ঠোঁটের কোন অংশ পুড়ে গেলে আপনাকে তাৎক্ষণিকভাবে কি করা দরকার- তার সমাধান জেনে নেই। অনেকে আছেন যারা, পুড়ে যাওয়ার সাথে সাথে বরফ জাতীয় কিছু পোড়া স্থানে লাগায়- কিন্তু এটা করা ঠিক নয় এতে সাময়িকভাবে স্বস্তি বোধ করলেও পরবর্তীতে বিপদের সম্মুখীন হতে পারে ।
কাজেই, আমাদের সরবরাহকৃত এবং প্রমাণিত কিছু করণীয় নিচে তুলে ধরা হলো । পোষ্টের কোন লাইন স্কিপ না করে পুরো নিবন্ধটি ভালোভাবে পড়লে আপনি অনেক উপকৃত হবেন বলে আমরা ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি ।
গরম খাবারে জিব্বা পুড়ে গেলে করণীয়
ধৈর্য সকল মানুষকে সন্তুষ্টি এনে দিতে পারে বিপদে ধৈর্য ধারণ করুন এবং তা সমাধানের চেষ্টা করুন । নিচে উল্লেখিত করণীয়গুলো জিব্বা পুড়ে গেলে আপনি ব্যবহার করতে পারেন -আর নিশ্চয়ই তা আপনার জন্য প্রযোজ্য।
জিহ্বাকে দ্রুত শীতল করুন: জিব্বা পুড়ে গেলে আপনি তাৎক্ষণিকভাবে কিছু পানি দিয়ে কুলি করতে পারেন । এছাড়াও ক্ষতস্থানে চিনিসহ পানি লাগিয়ে দিতে পারেন । তাতে আপনি তাৎক্ষণিকভাবে স্বস্তি বোধ করবেন।
ঝাল খাবার এড়িয়ে চলুন: জিব্বা পুড়ে গেলে আপনি ঝাল অথবা মসলাজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে পারেন । ঝাল জাল এবং মসলাজাতীয় খাবার পোস্ট টাকে আরো বেশি জ্বালাময় করতে পারে।
জিহ্বা ব্রাশ করা থেকে বিরত থাকুন: কোন গরম পানীয় পান করার পর আপনার যদি জিব্বা পুড়ে যায়। তাহলে ব্রাশ করা থেকে বিরত থাকুন । ট্রিটমেন্ট নেওয়ার পর স্বস্তি বোধ করলে আপনি ব্রাশ করতে পারেন কোন সমস্যা নেই।
দুধ পান করুন: দুধ পান করলে অথবা দুগ্ধজাত খাবার খেলে পোড়া জিহ্বায় আরাম পেতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুধ পোড়া জিহ্বায় প্রলেপ দিতে পারে ও শীতল করতে পারে। এই উপকারিতা পেতে দইও খেতে পারেন। সুতরাং আপনার ঘরে যদি ঠান্ডা থাকে তাহলে খেয়ে নিতে পারেন।
লবণ-পানি দিয়ে কুলি করুন: আপনার যদি জিব্বা বা ঠোঁট পুড়ে যায়, তাহলে লবণ পানি দিয়ে কুলি করতে পারেন। লবণ পানি দিয়ে কুলি করলে যন্ত্রণা অনেক কমে যায়।
ব্যথার ওষুধ খান (যদি প্রয়োজন বোধ করেন): আপনি যদি পরাজিত অথবা ঠোট নিয়ে বিরক্তিকর অবস্থায় থাকেন অথবা ব্যথা অনুভব করেন, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে ব্যথার ওষুধ খেতে পারেন । যেমন- আইবুপ্রোফেন অথবা অ্যাসিটামিনোফেন/প্যারাসিটামল। এক সপ্তাহ পরও সেরে ওঠার লক্ষণ না দেখলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা বিবেচনা করুন।
সবশেষে আমরা আশা করছি যে, আপনি যদি গরম খাবার খেয়ে অথবা পান করে ঠোট অথবা জিব্বা পুড়ে ফেলেন তাহলে আমাদের পোষ্টটি অবশ্যই আপনাদের উপকারে আসছে বলে স্বীকার করছি।